• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ক্রেতার মামলা 


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ক্রেতার মামলা 
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ হাজার টেসলামালিক। কোনো আগাম সতর্কতা বা দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ ব্রেক কষে টেসলা কোম্পানির গাড়িগুলো। বিশেষ করে ‘অটোপাইলট’ ফিচার চালু থাকলে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর এ কারণে ক্লাস অ্যাকশন মামলা করেছেন তারা। 

অটোপাইলট মোডে গাড়িটি নিজেই গতিনিয়ন্ত্রণ ও ব্রেক করে। যদিও এটি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় নয়, টেসলাচালককে সব সময় স্টিয়ারিং হুইলে হাত রাখতে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এই সমস্যার কারণে টেসলার বিরুদ্ধে মামলার পর অস্ট্রেলিয়াতেও প্রায় ১০ হাজার চালক একত্রিত হয়ে ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, টেসলা ‘ফ্যান্টম ব্রেকিং’, ব্যাটারির পরিসীমা ও স্বচালিত প্রযুক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে।

দুই বছর আগে টেসলা গাড়ি কেনেন ডমিনিক ইয়িন। সিডনি থেকে মেলবোর্ন যাওয়ার পথে হাইওয়েতে হঠাৎ করেই ইয়িনের টেসলা গাড়িটি ব্রেক কষে, যার পেছনে কোনো কারণ ছিল না।

ইয়িন বলেন, ‘পেছনে থাকা ট্রাকচালক হর্ন বাজিয়ে রেগে গিয়েছিলেন। আমি হাত তুলে দেখালাম, ‘‘এটা আমি করিনি, গাড়িই এমন করছে।’’

এই সমস্যা ‘ফ্যান্টম ব্রেকিং’ বা ভৌতিক ব্রেকিং নামে পরিচিত এবং এটি বহুবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইয়িন বলেন, ‘হঠাৎ মনে হয়, যেন কেউ আরেকজন আপনাকে চালাচ্ছে। এটা খুব ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।’

আইনি প্রতিষ্ঠান জেজিএ স্যাডলারের আইনজীবী রেবেকা জানকাউস্কাস জানান, চালকেরা বলছেন, হাইওয়েতে ঘণ্টায় ১০০ বা ১১০ কিলোমিটার বেগে চলার সময় হঠাৎ গাড়ি ব্রেক কষে দেয়—কোনো কারণ ছাড়াই। এতে কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে টেসলা অস্ট্রেলিয়ার মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা সাড়া দেয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটি আগে বলেছে, তাদের অটোপাইলট প্রযুক্তি গাড়ি চালনার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তৈরি।

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল অবকাঠামো বিভাগ জানিয়েছে, গত দুই বছরে এ-সংক্রান্ত মাত্র ছয়টি অভিযোগ তারা পেয়েছে।

অন্যদিকে চালকদের উদ্দেশে এনআরএমএর পিটার খুরি বলেন, ‘এমন কিছু ঘটলে অবিলম্বে গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি সেখান থেকে সমাধান না পান, তবে অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে জানাতে পারবেন।’

ডমিনিক ইয়িন বলেছেন, ‘যদি জানতাম এমন কিছু ঘটবে, তাহলে কখনোই এই গাড়ি কিনতাম না। গাড়ি চালাতে গিয়ে সব সময় ভাবতে হয়, আবার কখন এটা ঘটবে! তিনি টেসলাকে পুরো অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বা অন্তত সমস্যা সমাধান দিতে বলেছেন।

তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ

Link copied!